চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : দুয়ারে ঈদুল আজহা, কোরবানির ঈদ। সাধারণ প্রয়োজনের পাশাপাশি কোরবানির মাংস সংরক্ষণের জন্য এই সময়ে ফ্রিজ কেনেন ক্রেতারা।
তাই সারা দেশে জমে উঠেছে ওয়ালটন ফ্রিজের বিক্রি। সেরা দামে, সেরা মানের ফ্রিজ কিনতে ঈদের আগমুহূর্তে ওয়ালটন শোরুমগুলোতে ভিড় করছেন ক্রেতারা।
রাজধানীসহ খুলনা, রংপুর, সিলেট, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলে নিয়োজিত ওয়ালটনের বিক্রয় প্রতিনিধি ও পরিবেশকদের কাছ থেকে ব্যাপকহারে ফ্রিজ বিক্রির খবর জানা গেছে।
তারা জানান, প্রতিবছরের মতো এবারও কোরবানির ঈদকে ঘিরে ব্যাপক বিক্রি হচ্ছে ওয়ালটন ফ্রিজ। দেশব্যাপী ওয়ালটন শোরুমে প্রতিদিনই বাড়ছে ক্রেতাদের ভিড়।
ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরের চিফ বিজনেস অফিসার তাহসিনুল হক বলেন, ঈদের মৌসুমে দেশে প্রতিবছরই রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজারের চাহিদা বাড়ে। বাংলাদেশে ঈদের সময়টাকে ফ্রিজ বিক্রির প্রধান মৌসুম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রতিবছরের মতো এবছরও ঈদের মৌসুমে ক্রেতা চাহিদার শীর্ষে রয়েছে ওয়ালটন ফ্রিজ। এর অন্যতম প্রধান কারণ ওয়ালটন ফ্রিজের সর্বোচ্চ সংখ্যক ডিজাইন ও মডেল, ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী, টেকসই গুণগতমান, সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচার, দেশব্যাপী বিস্তৃত সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবার নিশ্চয়তা।
তিনি জানান, সব শ্রেণি-পেশার গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী ৫০ লিটার থেকে শুরু করে ৬৬০ লিটার পর্যন্ত ধারণক্ষমতার শত শত ডিজাইন ও মডেলের ফ্রিজ রয়েছে আমাদের। এবারের ঈদে ক্রেতাদের জন্য বিশেষ চমক হিসেবে ওয়ালটন বাজারে ছেড়েছে অর্ধ-শতাধিক সর্বাধুনিক ও উদ্ভাবনী ফিচারের বেশ কিছু নতুন মডেলের ফ্রিজ। এর মধ্যে রয়েছে ৬৪৬ লিটার ধারণক্ষমতার মাল্টি-কালার ডিজাইনের সাইড বাই সাইড রেফ্রিজারেটর, নাইন-ইন-ওয়ান কনভার্টিবল মোডসমৃদ্ধ ৬৬০ লিটার ফ্রেঞ্চ ডোর রেফ্রিজারেটর, ইউরোপিয়ান ডিজাইনের ৩৪৩ লিটার অত্যাধুনিক নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর, ৩৩৪ লিটার ভার্টিকাল ফ্রিজার, কনভার্টিবল মোডের ২৫৫ লিটার চেস্ট ফ্রিজার, চকলেট কুলারসহ বেশ কিছু নতুন মডেলের রেফ্রিজারেটর। নান্দনিক ডিজাইনে তৈরি ওয়ালটনের বিশ্বমানের এসব ফ্রিজ প্রয়োজন মিটানোর পাশাপাশি বাড়িয়ে দেবে ঘরের আভিজাত্য।
জানা গেছে, ঈদ উপলক্ষে সারা দেশে চলছে ওয়ালটন ফ্রিজের ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ ক্যাম্পেইন। এর আওতায় ঈদে ওয়ালটনের যেকোনো মডেলের ফ্রিজ কিনে ক্রেতারা পাচ্ছেন মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ। এখন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ওয়ালটন পণ্য কিনে মিলিয়নিয়ার হয়েছেন ৪০ জন ক্রেতা। প্রত্যেকেই পেয়েছেন ১০ লাখ টাকা। এছাড়াও রয়েছে কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত উপহার। এবারের ঈদে ফ্রিজের বাজারে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ওয়ালটনের এই মিলিয়নিয়ার ক্যাম্পেইন।
ঈদুল আজহায় একসঙ্গে প্রচুর পরিমাণ মাংস সংরক্ষণ করার প্রয়োজন পড়ে। এতে ফ্রিজার অংশে লোড অনেক বেড়ে যায়। ওয়ালটন ফ্রিজে ব্যবহৃত হচ্ছে টার্বো কুলিং প্রযুক্তি। ফলে রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার অংশ ঠান্ডা হয় দ্রুত। তাই লোড যত বেশিই হোক না কেন ওয়ালটন ফ্রিজে সংরক্ষিত মাছ, মাংস, সবজি, ফলমূলসহ অন্যান্য সব খাবার সতেজ ও টাটকা থাকে দীর্ঘদিন।
ওয়ালটন ফ্রিজের রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টারের সূত্রমতে, ওয়ালটনের নতুন মডেলের ফ্রিজে ব্যবহার করা হয়েছে এমএসও প্লাস ইনভার্টার টেকনোলজি। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বেজড এই প্রযুক্তি এনভায়রনমেন্ট টেম্পেরেচারের ডাটা সংগ্রহের মাধ্যমে ফ্রিজ কম্পার্টমেন্টের সঠিক তাপমাত্রা অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফ্রিজের অভ্যন্তরীণ সর্বোচ্চ কুলিং পারফরমেন্স নিশ্চিত করে। তাই ওয়ালটন ফ্রিজে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়।
ওয়ালটন স্মার্ট ফ্রিজে যুক্ত করা হয়েছে ‘এআই ডক্টর’ ফিচার। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এই ফিচার গ্রাহকের বাসায় ব্যবহৃত ওয়ালটন স্মার্ট ফ্রিজের কুলিং পারফরমেন্স, সেন্সরসহ অন্যান্য কম্পোনেন্টস এ কোনো সমস্যা হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সনাক্ত করে তৎক্ষনাৎ নিজেই সমাধানের চেষ্টা করবে। যদি তা না পারে, সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহকের বাসার কাছেরই সার্ভিস সেন্টারে নোটিফিকেশন পাঠিয়ে দেবে। নোটিফিকেশন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কাস্টমার কেয়ার সার্ভিসের প্রতিনিধি গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমস্যা সমাধান করে দেবে। ফলে গ্রাহক ফ্রিজের কোন অস্বাভাবিকতা বোঝার অনেক আগেই পেয়ে যাবেন প্রয়োজনীয় বিক্রয়োত্তর সেবা।
ওয়ালটন ফ্রিজে ব্যবহার করা হয়েছে ইউএসএএর ফুড অ্যান্ড ড্রাগস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) অনুমোদিত ১শ শতাংশ ফুডগ্রেড মেটেরিয়াল। যা খাবারের মান অধিক সময় পর্যন্ত ঠিক রাখে। সিলভার ক্লিন++ ও থ্যালেট ফ্রি ডোর গ্যাসকেট ব্যবহার করায় এসব ফ্রিজে ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণুমুক্ত স্বাস্থ্যকর সতেজ খাবার নিশ্চিত করবে। স্মার্ট কন্ট্রোল ফিচার থাকায় ফ্রিজের দরজা না খুলেই হাতের স্পর্শের মাধ্যমেই ফ্রিজ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
ওয়ালটন ফ্রিজে ক্রেতারা পাচ্ছেন এক বছরের রিপ্লেসমেন্টসহ কম্প্রেসরে ১২ বছরের গ্যারান্টি এবং ৫ বছরের ফ্রি বিক্রয়োত্তর সেবার সুবিধা। এছাড়া রয়েছে আইএসও সনদপ্রাপ্ত দেশব্যাপী বিস্তৃত ৮০টিরও বেশি সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবার নিশ্চয়তা।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ