ঈদগাঁও উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন আবু তালেব

ঈদগাঁও প্রতিনিধি : কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলা পরিষদের প্রথম নির্বাচনে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আবু তালেব। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পুরুষ পদে আহমদ করিম সিকদার ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কাউছার জাহান জেসমিন নির্বাচিত হয়েছেন।

প্রাপ্ত বেসরকারি ফলাফলে টেলিফোন প্রতীকের আবু তালেব ১৬ হাজার ৬৭২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের শামশুল আলম পেয়েছেন ১২ হাজার ৬৩৮ ভোট। এছাড়া পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে চশমা প্রতীকের আহমদ করিম সিকদার ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কলসি প্রতীকের কাউছার জাহান জেসমিন নির্বাচিত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সময় গড়ানোর সাথে সাথে উপজেলা জুড়ে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটে।বিশেষ করে বিভিন্ন স্থানে টেলিফোন ও মোটরসাইকেল প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। হঠাৎ দুপুরের দিকে উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের মালমুরাপাড়া ৪ নং ওয়ার্ড এলাকায় নির্বাচনী সহিংসতায় সফুর আলম (৩৫) নামের টেলিফোন প্রতীকের এক কর্মী নিহত হন।

নিহতের চাচা দেলোয়ারের দাবি তার ভাতিজা টেলিফোনের সমর্থক। মূলত খুনিরা তাকে খুন করতে এসেছিল।এসময় ভাতিজা সফুর আলমকে পেয়ে তাকে ছুরিকাঘাত করে খুন করে। স্থানীয় আলম মলইর ছেলের নেতৃত্বে মোটরসাইকেলের সমর্থকরা এ খুনের ঘটনা ঘটায় বলে তিনি দাবি করেন।

ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ শুভ রঞ্জন চাকমা জানান, লাশের ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং এখনো পর্যন্ত মামলা হয়নি।

এদিকে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোটরসাইকেলের শামশুল আলমের উপরও হামলা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন এবং এসময় তাঁকে ছেঁড়া কাপড় পরিহিত অবস্থায় দেখা যায়।

অপরদিকে, দুপুরের সুষ্ঠু ভোট গ্রহণের দাবিতে মহাসড়কের ঈদগাঁও বাস-স্টেশন অবরোধ করেন অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী আনারস প্রতীকের সেলিম আকবর ও তার সমর্থকরা। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি ও যান চলাচল স্বাভাবিক করেন।

চাটগাঁ নিউজ/সেলিম/এসএ

Scroll to Top