সেলিম উদ্দীন,ঈদগাঁও প্রতিনিধি: কক্সবাজারের ঈদগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান ছৈয়দ আলমের বিরুদ্ধে অনৈতিক ভাবে ৩৮ জন রোহিঙ্গাদের জন্ম সনদ,রোহিঙ্গা নয় মর্মে প্রত্যায়ন, জন্মনিবন্ধন জালিয়াতি ও জাতীয়তা সনদ প্রদানের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় পত্র প্রদান ও ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগে জনৈক নুরুল হক ও মনজুর আলমের দায়েরকৃত অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর পত্র পাঠিয়েছে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখায় কর্মরত সহকারী কমিশনার মাসুম বিল্লাহ।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) ০৫.২০.২২০০.১২৬.১১.০৩৭.২০২৩-২৮২ স্মারক নম্বরে উল্লেখিত তথ্য জানা গেছে।
পত্রে আরো উল্লেখ করেন, অভিযোগের বিষয়ে ইতিপূর্বে একই কার্যালয় থেকে ৮০নং স্মারক মূলে আরো একবার তদন্ত প্রতিবেদন চেয়ে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন পাঠাতে পত্র ইস্যু করা হয়।
কিন্তু ব্যস্ততার কারণে আর প্রতিবেদন পাঠায়নি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। যদিও বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অতিরিক্ত দায়িত্ব (ঈদগাঁও) মোঃ জাকারিয়া জানান, প্রথম পত্র হাতে পাওয়ার পর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি করা হয়। নানা ব্যস্ততার কারণে প্রতিবেদন জমা দেওয়া সম্ভব হয়নি। খুব শিগগিরই তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণ করা হবে বলে জানান তিনি।
জানা যায়, গত ৭ ফেব্রুয়ারী তদন্ত প্রতিবেদন চেয়ে পত্র পাঠানোর দীর্ঘ সময় ধরে প্রতিবেদন না দেওয়ায় দ্বিতীয় বারের মতো পত্র ইস্যু করেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে চেয়ারম্যান ছৈয়দ আলম নির্বাচিত হওয়ার পর পরই বিগত ৫ বছরে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করে ৩৮ জন রোহিঙ্গাকে জাতীয় পরিচয় পত্র (ভোটার) তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে নানাভাবে সহযোগিতা করে এসেছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল।
তদন্ত প্রতিবেদন ধামাচাপা দিতে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান ছৈয়দ আলম মোটা অংকের টাকা দিয়ে বিভিন্ন দপ্তর ও আমলা এবং সরকার দলীয় প্রভাবশালী নেতা এবং জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে বলে জানা যায়।