চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : নিজের সন্তানকে অস্বীকার করলেও ছাগলকাণ্ডে ব্যাপক আলোচিত মুশফিকুর রহমান ইফাতের পরিচয় শেষ পর্যন্ত আড়াল করে রাখতে পারেননি কাষ্টমস কর্মকর্তা ড. মতিউর রহমান। নানা সূত্রে জানা গেছে, ইফাত ওই কর্মকর্তারই সন্তান। সে মতিউরের দ্বিতীয় পক্ষের ছেলে।
ইফাতের মায়ের ফুফাত ভাই ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী ইফাতের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন। একাধিক গণমাধ্যম তিনি জানিয়েছেন, ইফাত তার মামাতো বোনের সন্তান। আর মতিউর রহমানই তার বাবা।
নিজাম উদ্দিন আরও বলেন, ইফাত এনবিআর সদস্য মতিউর রহমানের দ্বিতীয় পক্ষের ছেলে। ধারণা করছি, রাগ করে মতিউর রহমান ইফাতের সঙ্গে সম্পর্ক অস্বীকার করেছেন।
উল্লেখ, এবারের কোরবানী ঈদের আগে ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল কেনার জন্য বুকিং দিয়ে ব্যাপক আলোচনায় আসে ১৯ বছরের তরুণ মুশফিকুর রহমান ইফাত। বিষয়টি দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। এর প্রেক্ষিতে ড. মতিউর রহমান একাধিক গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেন, আলোচিত ইফাত তার সন্তান নয়। এই নামের কাউকে তিনি চেনেন না। এমনকি এই নামে তার কোনো আত্মীয়ও নেই।
তিনি দাবি করেন, তার দু’জন সন্তান রয়েছে, যাদের একজন ছেলে, অন্যজন মেয়ে। ছেলের নাম আহমেদ তৌফিকুর রহমান আর মেয়ের নাম ফারহানা রহমান। থাকে কানাডায়। বিদেশে পড়াশোনা করে এসেছে।
ড. মতিউর শুধু ইফাতকে সন্তান হিসেবে অস্বীকার করেই থেমে যাননি; তিনি হুমকী দিয়েছেন, যারা ইফাতকে তার সন্তান হিসেবে পরিচয় দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে তিনি আইনী ব্যবস্থা নেবেন।
ড. মতিউরের এই দাবির প্রেক্ষিতে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়ে। প্রশ্ন ওঠে-ইফাতের পিতা তাহলে কে?
এরমধ্যে একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে জানা যায় মতিউর রহমান দুটি বিয়ে করেছেন। প্রথম স্ত্রী তারই সহপাঠি লায়লা কানিজ লাকী।
পরে তিনি আরেকটি বিয়ে করেন, যিনি ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর মামাতো বোন। ইফাত এই স্ত্রীর সন্তান।
চাটগাঁ নিউজ/এসআইএস