চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : পাকিস্তানে ইন্টারনেট ‘ব্লক’ বা এর গতি ধীর করার সত্যতা অস্বীকার করে দেশটির তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী শাজা ফাতিমা খাজা দাবি করেছেন, সরকার ইন্টারনেট ব্লক বা এর গতি স্লো করেনি। সরকার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তারা দিনরাত কাজ করছে এ অবস্থা মোকাবিলা করার জন্য।
রোববার (১৮ আগস্ট) পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিওটিভি, দ্য নিউজ ও দ্য ডন এ বিষয়ে খবর প্রকাশ করে।
খবরে বলা হয়, রোববার ইসলামাবাদে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী শাজা ফাতিমা খাজা বলেন, আমি দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে পারি, পাকিস্তান সরকার ইন্টারনেট ব্লক বা এর গতি ধীর করেনি।
শাজা ফাতিমা উল্টো ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ওপর দোষ চাপিয়ে বলেন, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা ভিপিএন (ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক) ব্যবহার করায় এর গতি ধীর হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ভিপিএন ব্যবহার করার কারণে অনেক অ্যাপ্লিকেশন (অ্যাপ) ডাউনলোড হয়নি। কারণ, ভিপিএন ফোনের গতি ধীর করে দেয়। বিশেষজ্ঞরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে পাকিস্তানের তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী বলেন, সরকার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলেছে। তারা দিনরাত ধরে ইন্টারনেটের সমস্যা সমাধানে কাজ করে যাচ্ছেন।
তথ্যপ্রতিমন্ত্রী এমন সময়ে এ মন্তব্য করলেন, যখন দেশের কোনো কোনো অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ ইন্টারনেটের সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। বিশেষ করে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেননি এতে ‘ব্লকেইড’ থাকায়। কোথাও কোথাও আবার ৪জি ইন্টারনেট পরিষেবাও পাওয়া যায়নি।
এদিকে, ওয়্যারলেস ও ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) অ্যাসোসিয়েশন অব পাকিস্তান (ডব্লিউআইএসপিএপি) অভিযোগ করেছে, বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কাছে ইন্টারনেট পরিষেবার মাধ্যমে অবাঞ্ছিত তথ্য যাতে না পৌঁছায়, সে কারণে নিরাপত্তা ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ওপর নজর রাখতে ইন্টারনেটে ফায়ারওয়াল বসানো হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) পাকিস্তানের তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ফাতিমা বলেছিলেন, সাইবার নিরাপত্তার জন্য ইন্টারনেটে ফায়ারওয়াল বসানো হয়েছে। পৃথিবীর সব দেশেই এটি করা হয়ে থাকে।
তিনি বলেন, শুধু পাকিস্তান নয়, সারা পৃথিবীর দিকেই তাকিয়ে দেখুন, সাইবার হামলা প্রতিরোধে নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়। সাইবার হামলা প্রতিরোধে সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় এ ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে হয়।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইন্টারনেট সমস্যা সমাধানে তথ্যপ্রযুক্তি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আগামী সপ্তাহে বৈঠকে বসা হবে। এছাড়া আরো ইন্টারনেট সংযোগ বৃদ্ধির জন্য আরো ৪টি ইন্টারনেট ক্যাবল স্থাপন করা হবে।
আলাপকালে তিনি সাংবাদিকদের জানান, ২০২৫ সালে পাকিস্তানে ৫জি ইন্টারনেট চালু করা হবে। এজন্য ইসলামাবাদ ও করাচিতে দুইটি আইটি পার্ক স্থাপন করা হবে। এতে ১০ হাজারের বেশি কর্মসংস্থান তৈরি হবে এবং মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার আয় হবে। দক্ষিণ কোরিয়ার সহযোগিতা নিয়ে এ আইটি পার্ক দুটি স্থাপন করা হবে।
চাটগাঁ নিউজ/এআইকে