চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মিছিলে নগরের আন্দরকিল্লা মোড় এলাকায় ছুরি হাতে মারামারির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি এলাকা থেকে ওই যুবককে কোতোয়ালী থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
ছুরি হাতে থাকা সেই যুবকের নাম মো. রাকিব হোসেনের বাসা নগরীর হামজারবাগ এলাকায়। তার বাড়ি কুমিল্লা জেলার লাঙ্গলকোট উপজেলায়। সে পাঁচলাইশ থানাধীন মুরাদপুর এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয়দানকারী মোহাম্মদ ফিরোজ নামের এক ব্যক্তির অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
নগর পুলিশের কোতোয়ালী জোনের সহকারি কমিশনার অতনু চক্রবর্তী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সমাবেশ পরবর্তী মিছিলের মধ্যে রাকিবকে ছুরি হাতে তেড়ে গিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে দেখা গিয়েছিল। এ সংক্রান্ত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়েছে। পরবর্তীতে আমরা তাকে গ্রেফতারের জন্য খুঁজতে থাকি। আজ (মঙ্গলবার) বায়েজিদ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাকিবের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।’
গত রোববার নগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মিছিল বের হয় লালদীঘি মাঠ থেকে। মারামারিতে লিপ্ত হওয়া দুটি পক্ষই মিছিলে যোগ দেয়। মিছিলে ফিরোজের অনুসারীদের সঙ্গে একই এলাকার ইলিয়াছ সরকার পক্ষের অনুসারীদের মারামারির ঘটনা ঘটে। দুটি পক্ষই নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেয়।
পুলিশ ও নেতাদের হস্তক্ষেপে আন্দরকিল্লা এলাকায় মারামারি থামানো হয়। পরে ওই দিন সন্ধ্যা ছয়টার দিকে মুরাদপুর এলাকায় গিয়ে দুই পক্ষ আবার মারামারিতে জড়ায়। এ সময় মক্কা হোটেল নামের একটি রেস্তোরাঁ ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হন।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম ওবায়দুল হক বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বের হওয়া মিছিলটি আন্দরকিল্লা এলাকায় পৌঁছালে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ সময় রাকিব নামের এই যুবককে ছুরি হাতে দেখা যায়। তিনি মূলত মারামারিতে ভাড়া যান। সবশেষ কয়েক দিন আগে আলকরণ এলাকায়ও একটি মারামারিতে ভাড়াটে হিসেবে অংশ নেন।
রাকিবের বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানা এলাকায় মারামারি ঘটনায় তিনটি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ