চাটগাঁ নিউজ ডেস্কঃ চিন্ময় কাণ্ডে নিহত অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের বাড়িতে গেলেন অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। এসময় তারা আলিফের তিন বছর মেয়ে, পারিবারিক স্বজনদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। উপদেষ্টারা নিহত আলিফের পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তাও প্রদান করেছেন। পরবর্তীতে তারা অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের কবর জেয়ারত করেন।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ১১টায় অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের গ্রামের বাড়ি লোহাগাড়া থানাধীন চুনতি ফারাঙ্গা এলাকায় আসেন।
এসময় উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশ্যে সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, অ্যাডভোকেট সাইফুলের খুনিদের বিচার নিশ্চিত করবে সরকার। এই হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত তাদের দ্রুততম সময়ে আইনের আওতায় এনে সর্ব্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। সেটা হোক ব্যক্তি, সংগঠন কিংবা গোষ্ঠী। তদন্ত চলছে, ফুটেজ আছে। ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।
তিনি আরো বলেন, গুজব একটা মারাত্বক জিনিস। আমাদের গুজব থেকে দূরে থাকতে হবে। অভ্যন্তরীণ শান্তি, শৃঙ্খলা, সম্প্রীতি বজায় রাখতে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে, সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। সরকারকে বিব্রত করতে দেশে-বিদেশে একটি গোষ্ঠী তৎপরতা চালাচ্ছে। আমি দেশবাসীকে অনুরোধ করবো, ঘটনার পর থেকে অদ্যবধি আপনারা যে ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়েছেন, আগামীতেও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আশ্বস্ত করতে চাই, অ্যাডভোকেট আলিফ হত্যার বিচার নিশ্চিত করা হবে। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে যাতে কোনো উসকানিমূলক ঘটনা না ঘটে, সেদিকে সবার সতর্ক থাকতে হবে। প্রতিটি বিপদ মোকাবিলা করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন তাকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়। চিন্ময়ের মুক্তির দাবিতে পুলিশের সঙ্গে ইসকন ভক্তদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় চট্টগ্রাম আদালত ভবনের প্রবেশমুখে রঙ্গম কনভেনশন হলের পেছনে জবাই করে হত্যা করা হয়ে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে।
চাটগাঁ নিউজ/ইউডি