চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের অনিয়ম-দূনির্তী খবর প্রকাশ এবং শাহবাগের কথিত গণজাগরণ মঞ্চের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার কারণে দৈনিক আমারদেশ পত্রিকার প্রকাশনা বন্ধ করে দিয়ে সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়ার প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে আমারদেশ পূণ:রায় প্রকাশের দাবীতে চট্টগ্রামে মানববন্ধন পালন করেছে আমাদেশ পরিবার।
আজ বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের উদ্যোগে মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকা ছিল গণমানুষের কন্ঠস্বর। মাহমুদুর রহমানের সাহসী নেতৃত্বে পত্রিকাটি যখন জনপ্রিয়তায় তুঙ্গে উঠে তখন আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার তা বন্ধ করে দেয়। মাহমুদুর রহমানকে বার বার গ্রেফতার, রিমান্ড, হামলা, মামলা করে তাঁর জীবনকে বিপন্ন করে তুলেছিল। মাহমুদুর রহমানের মত নির্ভিক সম্পাদক সমসাময়িককালে আর দেখা যায়নি। আমার দেশ ও মাহমুদুর রহমান শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট শাসনের নির্মম শিকার। তাঁকে হত্যা করার জন্যে বারবার হামলা করা হয়েছে। ১২৪টি মামলা দিয়ে আদালতে বারান্দায় ঘুরিয়েছে। তার স্ত্রী সহ তাকে বানোয়াট অভিযোগে ৭ বছরের কারাদন্ড দিয়েছে। গণঅভ্যুত্থানে দেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হওয়ার পরও মাহমুদুর রহমানও তার স্ত্রী প্রতিকার না পাওয়া দুঃখজনক। তাই অবিলম্বে দৈনিক আমার দেশ খুলে দিয়ে সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের সাজা বাতিল করতে হবে।
আমার দেশ চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচির সভাপতিত্বে ও মো. কামরুল ইসলামের পরিচালনায় এতে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি ও আমার দেশ পত্রিকার নগর সম্পাদক এম. আবদুল্লাহ।
সাংবাদিক নেতা এম আবদুল্লাহ বলেন, গণঅভ্যুত্থানে পালাতে বাধ্য হওয়া আওয়ামী সরকার নোবেলজয়ী ড. ইউনুসের বিরুদ্ধেও অনেক মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দিয়েছে। এসব হয়রানির বিরুদ্ধে পেশাজীবী ও সাংবাদিক সমাজ প্রতিবাদ জানিয়েছে। আমরা আশা করি, মাহমুদুর রহমান ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে দেওয়া সাজা ও মামলা বাতিলে ড. ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার উদ্যোগ নেবেন। দৈনিক আমার দেশ প্রকাশের পথ সুগম করে দিবেন। তিনি অন্তর্বর্তীকালিন সরকারকে উদ্যোগ নিয়ে মাহমুদুর রহমানের সাজা বাতিল, তাঁর স্ত্রীর সাজা বাতিল, মামলাগুলো প্রত্যাহার করে নেওয়া এবং প্রেসের তালা খুলে দেওয়ার দাবি জানান।
মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম, মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ শাহ নওয়াজ, সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের সদস্য সচিব ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, সাবেক জেলা পিপি এডভোকেট কফিল উদ্দিন চৌধুরী, চবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নসরুল কদির, সাংবাদিক ইস্কান্দার আলী চৌধুরী, এ্যাবের সভাপতি ইন্জি. সেলিম জানে আলম, সিএমইউজের সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান, মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইঞ্জি. বেলায়েত হোসেন, সরওয়ার আলমগীর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য বদরুল খায়ের চৌধুরী, এম মন্জুর উদ্দিন চৌধুরী, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, মহিলাদলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, ড্যাবের কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. এস এম সারোয়ার আলম, মহানগর জিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, আমার দেশ পরিবারের সদস্য সোহাগ কুমার বিশ্বাস, এ্যাব নেতা ইন্জি. আতিকুজ্জামান বিল্লাহ, ইন্জি. সাখাওয়াত হোসেন, নবাব খান, উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সরোয়ার উদ্দিন সেলিম, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, দৈনিক আমার দেশ পাঠক মেলার সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক সোহেল প্রমূখ।
চাটগাঁ নিউজ/এসআইএস