চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : কোটা সুবিধা পুনর্বহাল সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের ওপর চার সপ্তাহের স্থগিতাদেশে আপিল বিভাগের আদেশ প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
তিনি বলেন, আমরা কোনও ঝুলন্ত সিদ্ধান্ত মানছি না। আমাদের এক দফা দাবি, সংসদে আইন পাস করে সরকরি চাকরির সব গ্রেডে শুধু পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠীর জন্য ন্যূনতম (সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ) কোটা রেখে সব ধরনের বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করতে হবে।
এর আগে স্থগিতাদেশকে প্রহসন বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম। তিনি বলেন, আমরা বার বার বলছি আমাদের দাবি নির্বাহী বিভাগের কাছে। কিন্তু হাইকোর্ট যেগুলো করছে পেছানো, স্থগিত করা, এক মাস দুই মাস এক সপ্তাহ এগুলো প্রহসনের চরমমাত্রা।
কোটা সংস্কারের দাবি নির্বাহী বিভাগ থেকে যতক্ষণ না পূরণ করা হবে, ততক্ষণ রাজপথে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
এদিকে সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করা শিক্ষার্থীদের পক্ষে এই ঘোষণা দেন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ঢাকা কলেজ শাখার সমন্বয়ক নাজমুল হাসান বলেন, আমরা যখন তীব্র গরমের মধ্যে সড়কে ঘাম ঝরাচ্ছি, তখন আপিল বিভাগ থেকে কোটা নিয়ে যে রায় ছিল; সেটা বহাল রেখেছে। আমরা ছাত্রসমাজ আপিল বিভাগ থেকে যে রায় দিয়েছে, সেই রায়কে প্রত্যাখ্যান করছি। আমরা বলতে চাই, ছাত্রসমাজের প্রাণের এক দফা দাবি হচ্ছে, সরকারি চাকরির সব গ্রেডে অযৌক্তিক কোটা বাতিল করতে হবে। সংবিধানের প্রতি আমরা সম্মান রেখে বলছি, সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করে যৌক্তিকভাবে কোটা রেখে সংসদে আইন পাস করতে হবে। যতদিন পর্যন্ত ছাত্রসমাজের এক দফা দাবি আদায় না হবে, আমরা রাজপথ থেকে ফিরে যাবো না।
সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর এক মাসের স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আপিল বিভাগ। এ আদেশের ফলে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র বহাল থাকছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
চাটগাঁ নিউজ/এআইকে