চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা ও তাদের অভিযোগ শোনার জন্য রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়া উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনেরও সেখানে উপস্থিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জানা গেছে, গত বুধবার থেকে কর্মবিরতিতে গেছেন রাজারবাগসহ বিভিন্ন ইউনিটের পুলিশ সদস্যরা। তাদের ১১ দফা দাবির মধ্যে দুই দফার বাস্তবায়ন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। বাকিগুলোর বাস্তবায়ন চান তারা।
কর্মবিরতিতে থাকা পুলিশ সদস্যদের ১১ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—
১. রাজনৈতিকভাবে যাতে পুলিশকে ব্যবহার করা যায় এ কারণে কমিশন গঠন।
২. বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যে পুলিশ সদস্যদের হত্যা করা হয়েছে, তাদের বিচার করতে হবে।
৩. পুলিশ কোনো সরকার বা রাজনৈতিক দলের অধীনে কাজ করবে না।
৪. পুলিশ নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে বাংলাদেশের জনগণের সেবা তথা রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত থাকবে।
৫. সারা দিনে ৮ ঘণ্টার বেশি ডিউটি করানো যাবে না, অধস্তন কর্মচারীরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কোনো অবৈধ বা মৌখিক আদেশ পালন করতে পারবেন না।
৬. অধস্তন কর্মচারীদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পদোন্নতির মতো পন্থা অবলম্বন করতে হবে।
৭. বার্ষিক নৈমিত্তিক ছুটি ২০ দিনের পরিবর্তে ৬০ দিন করতে হবে।
৮. ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মতো অধস্তন কর্মচারীদের সোর্স মানি দিতে হবে।
৯. বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি ইউনিটে ১০ তারিখের মধ্যে টিএ এবং ডিএ বিল পরিশোধ করতে হবে।
১০. নতুন বেতন স্কেল প্রণয়ন করতে হবে, ঝুঁকিভাতা বাড়াতে হবে।
১১. পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে শুরু করে বাংলাদেশ পুলিশের প্রত্যেকটি পুলিশ লাইনস, থানা, ফাঁড়ি, গার্ড, ক্যাম্পের নিরাপত্তা বেষ্টনী জোরদার করে নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত করতে হবে।
চাটগাঁ নিউজ/এআইকে