আনোয়ারায় ভোটার হতে এসে রোহিঙ্গা নারী ও নকল বাবা ধরা

আনোয়ারা প্রতিনিধি : জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি কার্ড) করতে এক নারী এসেছিল উপজেলা নির্বাচন অফিসে। সাথে এনেছিল জন্ম নিবন্ধন, ইউনিয়ন পরিষদের প্রত্যয়ন পত্র, পিতা ও মাতার পরিচয় পত্র সহ বিভিন্ন কাগজপত্র। এতে নির্বাচন অফিসার ওই নারী থেকে সাক্ষাৎ নিলে সন্দেহ হয় তাঁর কথাবার্তা ও কাগজপত্রে। পরে বেরিয়ে আসে ওই নারী রোহিঙ্গা ও সকল কাগজপত্র ভুয়া। এসময় রোহিঙ্গা ওই নারীসহ ৩ জনকে আটক করে পুলিশ।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার নির্বাচন অফিসে ছবি তোলার সময় তাদের আটক করা হয়।

আটক ৩ জন হলেন- রোহিঙ্গা নারী সুমাইয়া আক্তার (১৯), তার প্রকৃত রোহিঙ্গা পিতা মো. তৈয়ব (৪৫) ও ভুয়া পিতা মো. ইসমাইল (৬৫)। তাদের মধ্যে ইসমাইল উপজেলার জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের খুরুস্কুল গ্রামের মৃত সাঁচি মিয়ার পুত্র। আটকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান উপজেলা নির্বাচন অফিসার।

ইউনিয়ন পরিষদের প্রদত্ত কাগজপত্রের বিষয়ে জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. ইব্রাহীম বলেন, প্রথমে আমার কাছে আসলেও আমি তাদের কাগজপত্রে স্বাক্ষর করিনি, পরে হয়তো কারো মাধ্যমে ধরে অন্যজনের কাগজপত্রের ভেতর করে আমার স্বাক্ষর নিয়ে নিয়েছে।

উপজেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ বলেন, বুধবার এনআইডি কার্ডের ছবি তোলার সময় একজন মেয়েকে সন্দেহ হলে তাকে আটক করি, এসময় তার সব কাগজপত্র তার নকল পিতা ও আসল পিতা করে দিয়েছে বলে মেয়েটি স্বীকার করেন। পরে তার পিতা পরিচয়ে আসা মো. ইসমাইল ও রোহিঙ্গা মো. তৈয়বকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আটক রোহিঙ্গা ওই নারী চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের একটি জন্ম নিবন্ধনও জমা দিয়েছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।

আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. মনির হোসেন জানান, বর্তমান ভোটার হওয়ার জন্য যেসব নিয়মাবলি রয়েছে তা অমান্য করে ভুয়া তথ্যের মাধ্যমে ভোটার হতে গিয়ে রোহিঙ্গা নারীসহ তিনজনকে আটক করে নির্বাচন অফিসার। পরে পুলিশের কাছে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করে আদালতে প্রেরণ করা হবে।

চাটগাঁ নিউজ/সাজ্জাদ/এসএ

Scroll to Top