আনোয়ারা প্রতিনিধি : জেলার আনোয়ারায় উপকূলীয় রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকায় সাগরের তীব্র স্রোতে বেড়িবাঁধের প্রায় এক হাজার ফুট অংশ ভাঙনে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বাইঘ্যারঘাট পয়েন্টের এই অংশে বাঁধ ভেঙ্গে যেকোন সময় লোকালয়ে ঢুকে যেতে পারে জোয়ারের পানি। সাগরে তলিয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে স্থানীয় একটি মসজিদও।
এ অবস্থায় ৮০০ ব্লক ফেলে কোনমতে ভাঙ্গন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কাছে অনুরোধ জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
স্থানীয়রা জানায়, বাইঘ্যার ঘাট পয়েন্টে জিও টিউবের মাধ্যমে ভাঙ্গন রোধের কাজ চলমান থাকলেও জোয়ারের তীব্রতায় কিছুতেই ভাঙ্গন রোধ করা যাচ্ছে না। ইতিমধ্যে বেড়িবাঁধের বেশিরভাগ অংশ সাগরে বিলীন হয়ে গেছে। বাকী অংশ ভাঙন ঠেকাতে না পারলে পুরোপুরি বিলীন হয়ে বেড়িবাঁধের পাশে থাকা বাড়িঘর বিলীন হওয়ার পাশাপাশি পুরো গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশংকা রয়েছে। অন্যদিকে উঠান মাঝির ঘাট এলাকায় একটি কবরস্থান পুরোপুরি সাগরে বিলীন হয়ে গিয়েছে। এরমধ্যে বেড়িবাঁধ ভাঙনে ওই এলাকার মানুষের জীবনযাপন ও চলাচলের ব্যাপক দুর্ভোগ নেমে এসেছে। লোকালয়ে কখন পানি ঢুকে পড়ে তার ভয়ে আতংকে দিন কাটাচ্ছে স্থানীয়রা।
শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে বাইঘ্যার ঘাট ভাঙন বেড়িবাঁধ এলাকা পরিদর্শনে যান উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী মোঃ মোজাম্মেল হক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইশতিয়াক ইমন। এসময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমানকে দ্রুততার সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী মোঃ মোজাম্মেল হক চাঁটগা নিউজকে জানান, উপকূলের বিভিন্ন স্পটে ৮শ’ ব্লক পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। আপাতত সেগুলো বাইঘ্যার ঘাট পয়েন্টে এনে ভাঙ্গন ঠেকানোর জন্য বলা হয়েছে। এই অংশে একটি মসজিদও সাগরে তলিয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে আনোয়ারা উপকূলে বড় ক্ষতির আশংকা রয়েছে। জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির বৈঠকে বিষয়টি উপস্থাপন করা হবে বলেও জানান তিনি।
চাটগাঁ নিউজ/সাজ্জাদ/এসআইএস