চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : জেলার অনোয়ারায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের জেরে আনোয়ারা উপজেলা নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান কাজী মোজাম্মেলকে গ্রেপ্তারের গুজব ছড়িয়ে পড়েছে।
শনিবার (৮ জুন) রাত সাড়ে ১১টার দিকে আনোয়ারা চাতরী চৌমুহনী এলাকায় উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী মোজাম্মেলকে আটক করা হয়েছে মর্মে খবর ছড়িয়ে পড়লে কয়েক শ নেতাকর্মী পুলিশকে ঘেরাও করে রেখেছে ভোজনবাড়ী নামে একটি হোটেলে।
এ সময় ৩/৪ শ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে পুলিশের একাধিক সদস্য আহত হয়েছেন। নেতাকর্মীরা রিজার্ভ পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে পালিয়ে যান বলে খবর পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুঁড়েন। বিপরীতে উত্তেজিত জনতারাও ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছেন বলে স্থানীয়রা জানায়।
একটি সূত্র বলছে উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী মোজাম্মেলকে আটক করার চেষ্টা করলেও নেতাকর্মীদের প্রতিরোধের তাকে ছেড়ে দিয়েছে।
তবে অন্য সূত্রের দাবী উপজেলা চেয়ারম্যান মোজাম্মেল নয় তার সমর্থিত গাছ মোজাম্মেল নামে এক নেতাকে গ্রেফতার করলে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে নেতাকর্মীরা তাকে ছিনিয়ে নেয় আওয়ামী লীগের একাংশ।। পরে পুলিশের হ্যান্ডকাপ নিয়ে পালিয়ে যান। তারা চাতুরী চৌমুহনী এলাকায় ভোজনবাড়ি রেষ্টুরেন্টে পুলিশকে ঘিরে রেখেছে। এনিয়ে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা চলছে।
আসামী ছিনিয়ে নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন্দর জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) শাকিলা সোলতানা। তিনি বলেন, ‘আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনাটি সত্য। তবে সংঘটিত ঘটনার স্পটটি আনোয়ারা থানার অধীন। বর্তমানে আনোয়ারা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে।’
জানতে চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী মোজাম্মেল জানান, গতকালের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ নিরীহ নেতাকর্মীকে আটকের চেষ্টা করলে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। আমি নেতাকর্মীদের আটকের প্রতিবাদ জানালে পুলিশ আমার সাথে খারাপ আচরন করে। এতে কয়েক হাজার নেতাকর্মী বিক্ষোভ করে একজনকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে। তিনি পুলিশের প্রতি অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান ওসির একতরফা আচরন করছে। প্রকৃত অপরাধীদের না ধরে নীরিহ নেতাকর্মীদের হয়রানী করছে।
এ সব ব্যাপারে জানতে আনোয়ারা থানার ওসিকে বার বার ফোন দিয়েও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
চাটগাঁ নিউজ/এসআইএস