চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : সিঁড়িতে পড়ে আছে বুলেটবিদ্ধ দেহের সাদা-কালো ছবি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ওখানেই গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেহ। তার কন্যা শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হয়ে ৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাড়িটিকে পরিণত করেছিলেন সংগ্রহশালায়।
সোমবার (৫ আগস্ট) তার সরকারের পতনের পরেই বিক্ষুদ্ধ জনতা ভাঙচুর করে জ্বালিয়ে দেয় মুজিবের স্মৃতি বিজড়িত সেই ভবনটি।
পাকিস্তান সরকার এবং সেনা নিপীড়নের প্রতিবাদে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে স্বাধীনতা ঘোষণা করে তিনি বলেছিলেন, রক্ত দিয়েই রক্তের ঋণ শোধ করতে আমি প্রস্তুত। তার সেই বক্তৃতা সূচনা করেছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের। যার পরিণামে সে বছরের ডিসেম্বরেই বদলে গিয়েছিল এশিয়ার মানচিত্র। কিন্তু স্বাধীনতার পরে মুজিবের শাসন দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ১৯৭৫ সালের ১৫ অগস্ট ভোরে ৩২ নম্বর ধানমন্ডির সরকারি বাসভবনে অভ্যুত্থানকারী সেনাদের গুলিতে নৃংশস ভাবে খুন হয়েছিলেন তিনি।
শুধু মুজিব নন, ঢাকা শহরের ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িতে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার স্ত্রী ফজিলাতুন্নেসা, তিন ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল, ১০ বছরের শিশু শেখ রাসেল, দুই পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামালও নিহত হয়েছিলেন ঘাতকের বুলেটে। বিদেশে থাকায় বেঁচে গিয়েছিলেন মুজিবের দুই কন্যা, হাসিনা এবং রেহানা। ঘটনাচক্রে, সোমবার তারা দু’জন সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে ঢাকা ছাড়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আগুন ছাই হয়ে গেল মুজিবের স্মৃতি বিড়জিত ৩২ নম্বর ধানমন্ডি রোডের সেই সংগ্রহশালা।
চাটগাঁ নিউজ/এআইকে