চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় প্রশাসনের অভিযানে জব্দ করা দুটি এস্কেভেটর চুরি হয়ে গেছে। আনুমানিক ৩০ লাখ টাকা মূল্যের এ দুটি এস্কেভেটরের চুরির ঘটনায় আলোচনার ঝড় উঠেছে।
এস্কেভেটর দুটির জিম্মাদার শিকলবাহা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো. আসাদুজ্জামান কায়সার চুরির অভিযোগে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে এবং পুলিশ এ ঘটনায় চুরির রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করছে।
জানা গেছে, গত ১২ মে কর্ণফুলী উপজেলার ভেল্লাপাড়া এলাকায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) রয়া ত্রিপুরার নেতৃত্বে এক অভিযানে অবৈধ বালু ব্যবসা পরিচালনার অভিযোগে ১ লাখ ৩০ হাজার ঘনফুট বালু ও দুটি এস্কেভেটর জব্দ করা হয়। পরে এস্কেভেটর দুটি ইউপি সদস্য মো. আসাদুজ্জামানের জিম্মায় রাখা হয়। তবে ১ জানুয়ারি এস্কেভেটর দুটি পাওয়া যায়নি। জিম্মাদার অনেক খোঁজাখুঁজির পরও এস্কেভেটরের কোনো সন্ধান পাননি এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি থানায় চুরির মামলা দায়ের করেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, জিম্মাদার এস্কেভেটরের বিষয়ে সঠিক কোনো তথ্য প্রদান করেননি এবং নিলামে এস্কেভেটর দুটি তোলার জন্য উপস্থিতও ছিলেন না। এর ফলে এস্কেভেটরের নিলাম সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) রয়া ত্রিপুরা ২ জানুয়ারি জিম্মাদারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন, যেখানে বলা হয়েছে যে, জিম্মাদার তার দায়িত্ব পালন না করার কারণে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাকে তিন দিনের মধ্যে জবাব দাখিল করতে বলা হয়েছিল।
এ বিষয়ে জিম্মাদার মো. আসাদুজ্জামান কায়সার বলেন, ‘এস্কেভেটর দুটি কীভাবে চুরি হয়েছে, আমি কিছু জানি না। প্রথমে এসিল্যাণ্ড অফিস থেকে আমাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল, আমি তার লিখিত উত্তর দিয়েছি। পরে, এসিল্যাণ্ডের পরামর্শে আমি থানায় চুরির মামলা করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি গত ১ জানুয়ারি এস্কেভেটর দুটি দেখতে গিয়েছিলাম, কিন্তু সেখানে তা পাওয়া যায়নি। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও কোনো সন্ধান পাইনি।’
চাটগাঁ নিউজ/এসএ
