চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। তবে এ নির্বাচনের তারিখ পিছিয়ে দিতে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের উচ্চকক্ষ সিনেটে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন স্বতন্ত্র সিনেটর দিলওয়ার খান। এতে সমর্থন জানান বেশিরভাগ আইনপ্রণেতা।
শুক্রবার সংসদের উচ্চকক্ষ সিনেটে এ প্রস্তাব পাস হয়। তবে এই প্রস্তাব মেনে চলার আইনি কোনো বাধ্যবাধকতা না থাকলেও নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কেননা, ‘আইনি বাধ্যকতা না থাকলেও সিনেটের এই প্রস্তাবে অদৃশ্য চাপ তৈরি হবে নির্বাচন কমিশনের ওপর’, এমনটাই আশঙ্কা বিশ্লেষকদের।
এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এখন ইসির ওপর নির্ভর করছে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে নির্বাচন হবে কি না। খবর রয়টার্সের।
গত আগস্টে সংদের নিম্নকক্ষ ভেঙে দেওয়া হলে নভেম্বরেই সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। তবে জনশুমারি ও সংসদীয় সীমানা নির্ধারণের কারণে দেখিয়ে ৮ ফেব্রুয়ারি ভোটের দিন ধার্য করে ইসি।
পাকিস্তানের সিনেট ১০০ আসন বিশিষ্ট। তবে শুক্রবার মাত্র ১৪ জন সিনেট সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এই সিনেট অধিবেশনেই ভোট পেছাতে প্রস্তাব তোলেন স্বতন্ত্র সদস্য দিলাওয়ার খান।
তিনি বলেন, বেলুচিস্তান ও খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের অধিকাংশ অঞ্চলে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে প্রচণ্ড ঠান্ডা থাকে। এ ছাড়া সেখানে নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের বিষয়ও আছে।
পাকিস্তান বর্তমানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। এই সরকারের প্রধানমন্ত্রী হলেন আনোয়ার উল হক কাকার। মূলত দেশে একটি সাধারণ নির্বাচনের আয়োজনের করবে এমনটাই কথা ছিল তার সরকারের।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানে নির্বাচিত সরকার না থাকলে দেশটির শক্তিশালী সেনাবাহিনীর ক্ষমতা আরও মজবুত হবে। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভের পর তিন দশকের বেশি সময় পাকিস্তান শাসন করেছে সেনাবাহিনী। বর্তমানে সরাসরি ক্ষমতায় না থাকলেও নির্বাহী বিভাগের ওপর যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণ রয়েছে তাদের।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ