চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: দেশের চলমান সংকট সমাধানের জন্য অতিসত্বর নির্বাচন হওয়া দরকার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, আমাদের সবার প্রত্যাশা দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন। নির্বাচিত সরকার ৩১ দফা বাস্তবায়ন করবে। জনগণের কাছে যেসব বিষয়ে প্রতিজ্ঞবদ্ধ হয়েছি আমরা তা বাস্তবায়ন করবো। সুতরাং অতিসত্বর নির্বাচন দরকার।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপির লিয়াজোঁ কমটির সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন গণঅধিকার পরিষদ (নুর-রাশেদ), গণফোরাম, বাম গণতান্ত্রিক ঐক্য, ভাসানী ন্যাপ, পিপলস পার্টির সঙ্গে বৈঠক করে লিয়াজোঁ কমিটি।
আমীর খসরু বলেন, আমরা বিগত সময়ে একসঙ্গে আন্দোলন করেছি এবং স্বৈরাচারকে পরাজিত করেছি। এরই ধারাবাহিকতায় ৩১ দফার সংস্কার ও বাস্তবায়ন বাকি রয়েছে। এ বিষয়গুলো বিএনপিসহ যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলো জনগণের কাছে নিয়ে যাচ্ছে। ৩১ দফা সংস্কার ও তা বাস্তবায়নের জন্য আমরা আলোচনা করেছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক এবং বৈদেশিক যে বিষয়গুলোর সম্মুখীন হচ্ছে, তা নির্বাচিত সরকারের পক্ষে দ্রুত সমাধান দেওয়া সম্ভব। একটি নির্বাচিত সরকার যত তাড়াতাড়ি ক্ষমতায় আসবে দেশের জন্য তত ভালো।
সংস্কার প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, সংস্কার করতে হবে জনগণের নির্বাচিত সংসদে। আমাদের ৩১ দফা আছে, এর বাইরেও অন্য দলগুলো থেকে সংস্কারের বিষয়ে যেসব প্রস্তাব আসবে তা সংসদে উত্থাপন করা হবে, সংসদে আলোচনা হবে। বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত সংস্কার কমিশন যদি সংস্কারের জন্য কোনো প্রস্তাব দেয় বা আগামী দিনের জন্য রেখে যায়, তাদের সংস্কারের প্রস্তাবও সংসদে আলোচনা করা হবে। এসব বিষয়ে জনগণের নির্বাচিত সংসদ সিদ্ধান্ত নেবে।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, গণঅভ্যুত্থানে রাজনেতিক কর্মী, সাধারণ জনগণ, শিক্ষার্থী সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করার কারণে হাসিনা সরকারের পতন নিশ্চিত হয়েছে। এখন অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। আমরা রাজনৈতিক কর্মীরা সবসময় বলে এসেছি, এই অন্তর্বর্তী সরকার আমাদের সরকার। অন্তবর্তী সরকার গণঅভ্যুত্থানের, এ সরকারকে সফল করতে হবে। এই সরকার ব্যর্থ হোক এটি কোনো দল চায় না। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার যদি নিজে নিজে ব্যর্থ হয়ে যায় তাহলে সেই দায় রাজনৈতিক দলগুলো নিতে পারবে না।
তিনি বলেন, আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রেখে দায়িত্ব দিয়েছিলাম। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, সরকারের উপদেষ্টারা কেউ কেউ বিরাজনীতিকরণের বক্তব্য দিচ্ছে এবং একটি রাজনৈতিক দল গঠনের পৃষ্ঠপোষকতা করছে। যার কারণে গণঅভ্যুত্থানের যে রাজনৈতিক শক্তি কাজ করেছে তাদের ভেতর সংশয়-সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে। সরকারের সমালোচনা ছিল না, কিন্তু সরকারের উপদেষ্টাদের ভিন্নমুখী বক্তব্যের কারণে সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমাদের লিখিত সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু তিনি লিখিত কোনো ডকুমেন্ট জাতির কাছে উপস্থাপন করেননি। তিনি অনুমাননির্ভর বক্তব্য দিয়েছেন। কবে নির্বাচন হবে সে বিষয়ে এখনো ধোঁয়াশা কাটেনি।
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ