রাশিয়ার তেল ডিপোতে ভয়াবহ আগুন, ড্রোন হামলার অভিযোগ

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ায় কৃষ্ণসাগর উপকূলবর্তী শহর সোচির কাছে একটি তেল ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। রুশ কর্তৃপক্ষের দাবি, ইউক্রেনের ড্রোন হামলা থেকে এই আগুনের সূত্রপাত।

ক্রাসনোদার অঞ্চলের গভর্নর ভেনিয়ামিন কনদ্রাতিয়েভ জানিয়েছেন, রুশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার আঘাতে ড্রোনটি ভূপাতিত হওয়ার পর তার ধ্বংসাবশেষ একটি জ্বালানি ট্যাংকে আঘাত করে, সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত ঘটে। ১২০ জনেরও বেশি দমকল কর্মী আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে ঘটনাস্থল থেকে ঘন ধোঁয়ার বিশাল কুণ্ডলী উঠতে দেখা গেছে। ঘটনার পরপরই রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ রোসাভিয়াতসিয়া সোচি বিমানবন্দরে সব ফ্লাইট সাময়িকভাবে স্থগিত করে।

রাশিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় ভোরোনেজ অঞ্চলেও ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় চারজন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, রাতভর ৯৩টি ইউক্রেনীয় ড্রোন রুশ ভূখণ্ড ও কৃষ্ণসাগর অঞ্চলে ঢুকে পড়ে, যেগুলোর বেশিরভাগই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে ভূপাতিত হয়েছে।

এদিকে, ইউক্রেনের মাইকোলাইভ শহরে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের জরুরি সেবা বিভাগ। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ইউক্রেনীয় বিমান বাহিনী জানিয়েছে, রোববার রাশিয়া ৭৬টি ড্রোন ও সাতটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যার মধ্যে ৬০টি ড্রোন এবং একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। বাকি ১৬টি ড্রোন ও ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র আটটি ভিন্ন স্থানে আঘাত হেনেছে।

এই পাল্টাপাল্টি আক্রমণের প্রেক্ষাপটে মাত্র কয়েকদিন আগেই কিয়েভে ভয়াবহ রুশ হামলায় ৩১ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে পাঁচজন শিশুও ছিল। এতে আহত হন আরও ১৫০ জনের বেশি। সাম্প্রতিক মাসগুলোর মধ্যে এটিই ইউক্রেনে অন্যতম প্রাণঘাতী হামলা।

এই সহিংসতার মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শান্তি আলোচনার অগ্রগতির জন্য আগামী ৮ আগস্ট পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার তিনি জানান, একটি সমঝোতা ও যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে তার বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ রাশিয়ার উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছেন।

ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি না হলে রাশিয়ার ওপর নতুন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।

চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ

Scroll to Top