নিজস্ব প্রতিবেদক : নগরের বাকলিয়া থানাধীন এক্সেস রোডস্থ চন্দনপুরা এলাকা থেকে আবুল হাশেম প্রকাশ হাসু মিয়া (৫০) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ সোমবার (৯ জুন) সকাল আনুমানিক ১১টার দিকে চন্দনপুরা এক্সেস রোডের পাশের একটি ময়লার ভাগাড় থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। হাসু মিয়া চন্দনপুরা এয়াকুব আলী শেঠের বাড়ির লিয়াকত আলীর ছেলে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রাস্তার পাশের ময়লার ভাগাড়ে মো. হাসু মিয়ার মরদেহ পড়ে ছিল। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে বেলা ১১টার সময় তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. জাহেদুল কবির জানান, মরদেহ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। সুরতহাল রিপোর্টে মরদেহের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে আরও তদন্ত চলছে। এখনো কোন মামলা দায়ের হয়নি।
এলাকাবাসী জানান, হাসু মিয়া স্বভাবে শান্তশিষ্ট একজন মানুষ ছিলেন। তারা তিন ভাই তিন বোন। অন্য পাঁচ ভাইবোনদের সংসার হলেও হাসু মিয়া চিরকুমার ছিলেন। হাসু মিয়া অন্য ভাইবোনদের সাথে থাকতেন না। তিনি একাই থাকতেন। তবে অন্য ভাইয়েরা হাসু মিয়াকে পৈতৃক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করেছেন।
মো. জসিম নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, হাসু মিয়ার কাছে সবসময় নগদ টাকাপয়সা থাকত। পকেটে সবসময় পাঁচ দশ হাজার টাকা থাকত। তিনি এলাকার কবর খোঁড়াখুঁড়ির কাজও করতেন। চিরকুমার হওয়ায় তাকে অনেকে টাকা পয়সা দান করতেন। কেউ কেউ মহব্বত করে খাওয়াতেন। পকেটে নগদ টাকা থাকলে তিনি সবাইকে দেখাতেন। হয়ত টাকার লোভেই তাকে কেউ কৌশলে হত্যাও করতে পারে বলে তার ধারণা।
তবে এলাকাবাসী এই মৃত্যুর সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছেন।
চাটগাঁ নিউজ/ইউডি/এসএ