চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন ১৪ নভেম্বর

Facebook
WhatsApp
Twitter
Print

সিপ্লাস ডেস্ক: চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের পর এবার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের দ্বার উন্মোচন হচ্ছে। আগামী (১৪ নভেম্বর)  ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের কথা রয়েছে। নগরের লালখানবাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের প্রকল্পটির কাজ এখনও পুরোপুরি শেষ হয়নি। নির্মাণ শুরু হয়নি এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠানামার র‍্যাম্পও। তাই উদ্বোধন হলেও যান চলাচল নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। তবে প্রকল্প-সংশ্লিষ্টদের দাবি, উদ্বোধনের পর একাংশ যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

প্রকল্পের পরিচালক ও সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের যেটুকু কাজ বাকি আছে, তা উদ্বোধনের আগেই শেষ হবে। আপাতত পতেঙ্গা থেকে টাইগারপাস পর্যন্ত গাড়ি চলাচলের জন্য প্রস্তুত আছে। আর টাইগারপাস থেকে লালখানবাজার পর্যন্ত একটু সময় লাগবে। সেটাও দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।

নির্মাণাধীন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ঘুরে দেখা গেছে, নগরের লালখানবাজার থেকে টাইগারপাস মোড় পর্যন্ত পিলার তৈরি হলেও এখনও গার্ডার বসেনি। টাইগারপাস মোড় থেকে দেওয়ানহাট পর্যন্ত একাংশে গার্ডার বসানো হয়েছে। বাকি অংশে গার্ডার বসানোর কাজ চলছে। দেওয়ানহাট থেকে বারিক বিল্ডিং পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ের ওপর সড়ক তৈরি হচ্ছে। কোনো অংশে কার্পেটিং করা হচ্ছে। কোনো অংশে প্রতিরোধ দেয়াল নির্মাণের কাজ চলছে। বারিক বিল্ডিং থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত গাড়ি চলাচলের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এ ছাড়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে নগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ওঠানামার জন্য ১৪টি র‍্যাম্প নির্মাণের কথা রয়েছে। সেগুলোর কাজ এখনও শুরু হয়নি। ১২টি টোলপ্লাজার নির্মাণের কাজও শুরু হয়নি।

উদ্বোধনের পর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে কীভাবে যান চলাচল করা হবে, সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট কোনো নির্দেশনা নেই। তবে প্রকল্প-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উদ্বোধনের পর প্রথমে পতেঙ্গা থেকে টাইগারপাস পর্যন্ত যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। পরে টাইগারপাস থেকে লালখানবাজার পর্যন্তও যানবাহন চলাচল করা হবে।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধনের ফলে চট্টগ্রামের যানজট কিছুটা হলেও কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে প্রকল্পটি পুরোপুরি শেষ না হওয়ায় যান চলাচল নিয়ে এখনও শঙ্কা রয়েছে।

Scroll to Top